Monday 14 May 2018

musical story only on fb page ganer majhe tumi

Hi বন্ধুরা, আমি অনন্ত নিয়ে এলাম আমাদের পেজের বিশেষ নিবেদন যার নাম  "Musical story"
  আজকের গল্প টা একজন মহান গায়ক ও সুরকার এর জীবনের গল্প। তিনি হলেন আমার আপনার খুব প্রিয় শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়,
এমনি তে উনি ছোটো বেলায় বেশি দুরন্ত বা বদ বুদ্ধি ওয়ালা ছেলে ছিলেন না কিন্তু তার পরও উনি একবার স্কুল থেকে রাস্টিকেট হয়েছিলেন!! আসুন ঘটনাটা ভালো করে খুলে বলি।
একদিন স্কুলের অফপ্রিয়ড চলছে সব ছেলে মেয়েরা হট্টগোল করছে, কিন্তু কয়েক জন ছেলে ক্লাসের এক পাশে বসে গানের আসর বসিয়েছে, হম্ম সেই দলে হেমন্ত জি ও ছিলেন, গাইছিল, ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি একটা টান ছিলো, গান চলছে এমন সময় ক্লাসের পাশ দিয়ে এসিস্টেন্ট হেডমাস্টার যাচ্ছিলেন, হট্টগোল শুনে রেগে ক্লাসের ঢুকে বললেন "এত শোরগোল করছো কেন?? আর কে গান গাইছিলো শুনি ক্লাসে পড়া বন্ধ রেখে???"

স্যার এর রাগ দেখে সবাই চুপ কেও কিছু বলছেন না, তখন হেমন্ত জি দাঁড়িয়ে পরে সভয়ে বললে  আমি গাইছিলাম স্যার,
স্যার আগের থেকেও বেশি রেগে হাত ধরে টানতে টানতে অফিস রুমে নিয়ে গেলেন, টেবিল থেকে রেজিস্টার খাতা তা তুলে নিয়ে লাল পেন দিয়ে ঘষে ঘষে নামটা কেটে দিয়ে বললেন এবার যাও, আর পড়তে হবে না, গান গেয়ে বেড়াও।

না সেদিন রাস্টিকেট হননি, অনেক কাকুতি মিনুতি করে চোখের জল ফেলে শেষ বারের মতো ক্ষমা পেয়েছিলেন, পরের ফাইনাল পরীক্ষা তে ভালো নাম্বার নিয়ে পাশ করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন পড়া তে তিনি কম যান না, স্কুলের টপ লেবেলের স্টুডেন্ট দের লিস্ট এ নিজের নাম এনে বুঝিয়ে দিলেন গান তো তিনি গাইবেন আর সেটাও হবে পড়ার মতোই টপ লেবেলের মত। সবাই যাতে মনে রাখে।
গান তো তিনি তখন ভালোই গাইতে পারেন তার পর ও বন্ধু সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর হাজার বলা সত্বে ও রেডিও তে অডিশন দিতে কিছু তেই যেতে চাইছিলেন না, শেষ এ এক রকম জোর করেই সুভাষ বাবু নিয়ে গেলেন রেডিওতে, অডিশন এ পাশ করলেন, বন্ধু সুভাষ এর লেখা গান ও গাইলে , সেই শুরু তার পর একের পর এক গান গেয়ে আমাদের মনে জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন চিরতরে। ইতিহাস সৃষ্টি করা
সলিল  হেমন্ত জড়ি এর গল্প বলবো অন্য আর এক দিন। তবে বলে রাখি সলিল জি একটা ইন্টারভিউ তে বলেছিলেন "ভগবানের যদি কোনো দিন ও গান গাওয়ার ইচ্ছা হয় তো উনি হেমন্তের গলায় এ গাইতে চাইবেন"

অনেক বলেন ভগবানের গান গাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিলো আর তিনি হেমন্ত হয়ে জন্ম ছিলেন।
আমার মনে হয়না বেশি কিছু বাড়িয়ে বলা হয়েছে, সত্যি কি সুন্দর গলা আর গাওয়ার প্রতিভা। এত বছর পরেও বড় ছোট সবার মন জয় করে নেয় ওনার প্রতিটা গান, আমরা শুনি আর মুগ্ধ হয়ে যাই। ধন্যবাদ জানাই হেমন্ত জি এর সেই বন্ধু কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কে, ওনার সে দিনের জেদের কারণে আমরা এরকম এখন বহুমুখী প্রতিভা কে পেয়েছি।
সবাই ভালো থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু গল্প নিয়ে পরের বৃহস্পতিবার ঠিক এই সময়। comment করে জানাবেন কেমন লাগছে আমাদের এই বিশেষ নিবেদন।

pege e asun ekhane click kore

No comments:

Post a Comment