Monday 14 May 2018

musical story

hi বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি অনন্ত নিয়ে এলাম আমাদের পেজ এর বিশেষ নিবেদন ★Musical story★
আজকের গল্প একজন মহান গায়ক, যাকে সবাই এককথায় চেনেন সুফিমাস্টার হিসাবে। যার নাম ★নুসরাত ফতেআলি খান★ one of the greatest voices ever recorded, ওনার গলায় একটা extra ordinary range থাকার কারনে ঘন্টার পর ঘন্টা high label এ গান গাইতে পারতেন, যারা ওনাকে এখন ঠিক চিনতে পারছেন না তাদের বলি আপনা " আফরিন আফরিন " বা "প্রিয়ারে প্রিয়ারে থারে বিনা লাগে নাই মোরা জিয়ারে" বা "কই জানে কই না জানে, উপার বালে হতে হ্যায় দিবানে" গান গুলি শুনেছেন কি??? তাহলে ওনাকে ঠিকই চিনতে পারবেন। উনি ইন্ডিয়ান ফ্লিম আর ইন্ডিয়ান মিউজিক জগৎ প্রচুর নাম ও খ্যাতি লাভ করলেও ওনার আসল বাড়ি পাকিস্তানে।
আপনারা জানেন কি ওনার নাম কিন্তু নসরত ছিলো না, ওনার বাল্য নাম ছিলো "পারভেজ"।  কিভাবে নাম টা এলো আর কি ভাবে উনি শাহেশাহ সুফি সিঙ্গার হয়ে উঠলেন সেটা নিয়ে কিছু গল্প বলবো সাথে থাকুন।
সুফি অার কাওয়ালী গানের প্রতি ওনার অবদানের জন্য "শাহেনশাই কাওয়ালী" খেতাব ও পেয়েছিলেন, ১৯৬৪  এ ওনার বাবা ফতেআলী খানের মৃত্যু এর আগেই ওনার বাবা নসরতজী কে তার দুই দাদার হাতে তুলে দিয়ে ছিলেন ওনাদের ৬০০ বছরের সুফি ট্রেডিসন টা কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও আরো ভালো করে সুফি মিউজিক টা রপ্ত করার জন্য। ওনার বাবা নাম রেখেছিলেন পারভেজ কিন্তু এক সময় নসরত জী গানের তালিম নেয়ার জন্য গেলেন গুলাম জী এর কাছে, গুলাম জী ওনার গান শুনে বলেছিলেন "তুমি অনেক দুর যাবে, তুমি জয়ী হবে সুফি মিউজিক এর দুনিয়ার তাই তোমার নাম আজ থেকে পারভেজ না, নাম হবে নুসরত( victory/জয়)।
নসরত স্যার প্রথম পাকিস্তানি এমন একজন সিঙ্গার যিনি ৬০০ বছরের পুরানো কাওয়ালী ট্রেডিসন কে ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্সের কাছে মেলে ধরেছিলেন।
জানেন কি নুসরাত জি সুফি সিঙ্গার এর পরিবার থেকে হলেও ওনার বাবা কিন্তু প্রথমে চাইতেন না যে উনি বাকি সবার মত এই গানের জগৎ এর আসুন। উনি চাইতেন নসরত জী ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠত হন, কিন্তু যে পরিবারে ৬০০ বছর ধরে সুফি ট্রেডিসন চলে আসছে সেই পরিবারের ছেলের শিরায় শিরায় সুফি মিউজক থাকা টা স্বাভাবিক, একদিনের এক ছোট্টো ঘটনা ওনাকে আমাদের মাঝে এনে দিলো সুফি সঙ্গিতের স্রতে ভাসাতে। সে সময়ের পশ্চিমবঙ্গের খুবই জনপ্রিয় ক্লাসিক সিঙ্গার
"পন্ডিত দীননাথ " জী একদিন পাকিস্তান এলেন একটা অনুষ্ঠান করতে, তিনি ফতেয়ালি জি কে আগে থেকেই চিনতেন,  তাই থাকার বাবস্থা টা অনার অখানেই হলো।
একদিন ফতেয়ালি জি জানতে চাইলেন পাকিস্তান কেমন লাগছে??
উত্তরে দীননাথ জি বললেন (একটু রাগের সুরে) একদম ভালো না।
উত্তর শুনে তো ফতেয়ালি জি টেনশনে পরে গেলেন, তার পাকিস্তান এর সন্মানের ব্যাপার😱😱
তিনি জানতে চেয়ে বুঝলেন অনার আসল প্রব্লেম টা কথায়।
আসলে সেই সময় সব ক্লাসিক গায়ক স্টেজ এ গাওয়ার সময় সাথে একজন করে তবলাবাদক রাখা টা বেশি পছন্দ করতেন, কখন একা হারমনি নিয়ে গাইতেন না, কিন্তু পাকিস্তান এ একটা ও ভালো তবলাবাদক (অনার পছন্দমত) পাচ্ছিলেন না, তাই এত রাগ।

ডাক পড়ল নুসরত জি এর, কারন উনি তবলা টা বেশ ভালই বাজাতে পারেন বলে ফতেয়ালি জি মনে করেন।

একটা কম বয়সী, কম উচ্চতা আর একটু মোটাসোটা বাচ্চা ছেলে কে দেখে দীননাথ জি হাসলেন, বললেন এ আমার সাথে বাজাবে?!!!!

ফতেয়ালি জি বললেন একবার সুযোগ দিয়েই দেখুন না,

দীননাথ জি ভাবলেন ঠিক আছে একবার দেখেই নেওয়া যাক কেমন বাজায়, এমনি তে তো ভালো কাওকেই পাচ্ছিনা,

নুসরত জি বাজালেন, শুনে ভীষন খুশি হলে, নুসরত জি এর গান আগেই শুনেছিলেন তাই সঙ্গে সঙ্গে ফতেয়ালি জি কে বেশ কড়া সুরেই বললেন " এমন একটা ছেলে কে আপনি গানের জগৎ থেকে সরিয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাইছেন!!! এর মধ্যে প্রতিভা আছে, এর যত্ন নিন, অনেক বড় হবে এ "

সে দিনের পর থেকে ফতেয়ালি জি পুরোপুরিভাবে মাথা থেকে মুছে দিয়েছিলেন ছেলে কে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাবার ভাবনা।

আজ এইটুকুই। আবার নিয়ে আসব নতুন কোনো গল্প, ঠিক এই দিনে এই সময়।
ভালো থাকবেন।
#anANta

No comments:

Post a Comment