Tuesday 29 May 2018

তুমি ছাড়া কেউ নেই জীবনে আমার

তুমি ছাড়া কেউ নেই
জীবনে আমার
তোমাকে হারিয়ে দেখি
দু চোখে আধার
তুমি ছাড়া কেউ নেই জীবনে আমার
তোমাকে হারিয়ে দেখি
দু চোখে আধার
তুমি ছাড়া
কেউ নেই জীবনে আমার
জানি না তো কবে জে হবে
দু জনের দাখা
পথ চেয়ে দিন যায় আমার
আজ ও একা একা
ওও
তুমি যে আমার ওগো
আমি যে তোমার
তুমি ছাড়া কেউ নেই
জীবনে আমার
তোমাকে হারিয়ে দেখি
দু চখে আধার
তুমি ছাড়া কেউ নেই
জীবনে আমার

তোমার হাসিতে বধু জানি না কি আছে জাদু

তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
আধো খানি চাঁদ ওই সারারাত জাগে
হৃদয়ের ঘরে তারি ছোঁয়া লাগে
এমনো হবে তা বুঝিনি তো আগে
নিজেকে হারাবো আমি এত অনুরাগে হায়...
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
সোহাগেরই সুরে বুকে বাজে বীণা
মনে মনে শুনি কানে তো শুনি না
“আধো খানি চাঁদ ওই সারারাত জাগে
কোনো ভালবাসা এসে গেল কিনা হায়...
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়

Musical story তে আজ আপনাদের এক খুবই জনপ্রিয় একটা গানের গল্প বলবো,

Hi বন্ধুরা আমি অনন্ত নিয়ে এলাম আমাদের পেজ এর বিশেষ নিবেদন যার নাম "Musical story "
আজ আপনাদের এক খুবই জনপ্রিয় একটা গানের গল্প বলবো,
এখন যেমন সিডি, তার আগে ছিলো গ্রামোফোন আর তার ও আগে রেডিও তে হত লাইভ প্রোগ্রাম
সময় টা ৫০ এর দশক,  সেই সময়ের খুব জনপ্রিয় গায়ক, সুরকার ও গীতিকার মানবেন্দ্র মুখপাধ্যায় এর তিনটি লাইভ প্রোগ্রাম ছিলো একই দিনে আকাশবাণী তে, এখনকার ইডেনগার্ডেন এর আকাশবানী না, সেটা ছিলো ১নং গার্স্টিন প্লেস’ একে ‘১ নং ডাস্টবিন প্লেস’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে কখন কখন। প্রোগ্রাম টা একটানা ছিলো না, কিছু টা ছেড়ে ছেড়ে ছিলো, সে দিন মানব বাবু অনুষ্ঠানের ফাঁকের টাইম গুলো তে বোর হবেন ভেবে সাথে নিলেন বন্ধু গীতিকার শ্যামল গুপ্ত কে। অনুষ্ঠানের ফাঁকে একটু আড্ডা দেওয়া যাবে।
রাত ৮:৩০ টায় রাগ প্রধান গানের অনুষ্ঠান শেষ হতেই মানব বাবু শ্যামল বাবু কে বললেন চলো একটু ছাদে ঘুরে আসি, রাত ১০:৪৫ এ মানব বাবুর আধুনিক বাংলা গানের অনুষ্ঠান আছে।
ছাদে গিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন গল্প করছেন দুজনে এমন সময় শ্যামল বাবু বললেন দাড়াও একটা নতুন গানেরকলি মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আগে লিখে নিই, প্রথম কয়েকটা লাইন লিখে মানব বাবু কে দেখালেন, মানব বাবু সেটা পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন, কিছুখন চুপ থেকে বললেন অসাধারন লেখা, তুমি আরও কয়েক লাইন লেখো এই গানটা আমি আজকেই গাইতে চাই,
যা কথা তাই কাজ, শ্যামল বাবু লেখায় মন দিলেন আর এদিকে মানব বাবু আগের লেখাটা জন্য সুর করতে লাগলেন, এই ভাবে কিছুটা করে লিখে শ্যামল বাবু খাতার পাতা ছিড়ে দিচ্ছেন আর মানব বাবু সুর করে চলেছেন। রাত প্রায় ৯:২৫ এ দুজনে নেমে এলেন ছাদ থেকে, হাতে তিনটে ছেঁড়া কাগজের টুকরো, দুজনেরই মুখে একটা খুশির আমেজ,
রাত ১০:৩০ টায় স্টুডিও তে ঢুকলেন, কথা ছিলো মানব বাবু দুটি গান গাইবেন, যুক্ত হল তিন নং গানটাও, শ্যামল গুপ্তের কথায় ও মানব বাবুর সুরে ও গানে শেষ হল আকাশবাণী এর তৃতীয় অধিবেশন। স্টুডিয়োর ভেতরে তখন দুজনেরই চোখে জল, সৃষ্টি এত আনন্দের হয়!!
সৃষ্টি হলো বাংলা রোমান্টিক গানে সর্ব কালের সেরা কালেকশন এর অন্যতম সেরা রোমান্টিক গানের,
যা সৃষ্টি হয়েছিল এক ঘন্টার ও কম সময়ে, বাংলা গানের জগতে এক ইতিহাস সৃষ্টি হল ১৯৫৭ সালের ৩০ জুলাই মঙ্গলবার। পরবর্তী কালে গ্রামোফোন কম্পানী তাদের শারদ অর্ঘে এই গানটি কে প্রকাশ করেছিলো।
এই এত পুরানো হয়ে ও আজ ও সবার মনে সমান ভাবে জায়গা করে নিয়েছে, তবে এই গান টা আমার মত আর ও অনেকেই প্রথম বার শুনে কুমার শানু এর গলায়। এবার বলে দেওয়া সময় হয়েছে আসলে কোন গানের কথা বলছিলাম। গানটি হল -

"আমি এত যে তোমায় ভালোবেসেছি তবু মনে হয় এ যানো গো কিছু নয়, কেন আরো ভালোবেসে যেতে পারেনা হৃদয়"
আজ এইটুকুই, আসি তবে, আবার এক musical story নিয়ে হাজির হব ঠিক এই দিনে এই সময়। সবাই ভালো থাকবেন, আর হ্যা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কেমন লাগলো বা এই বিশেষ নিবেদন কেমন লাগে।
শেয়ার করে বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিলে লেখাটা সার্থক হয়েছে ভাববো।
#anANta

Saathi tera pyar pooja hai

Saathi tera pyar pooja hai
Tere siwa kaun mera dooja hai yaar
O saathi ho ho
Ho mitawa ho ho
Saathi tera pyar pooja hai
Tere siva mera dooja hai yaar
Saathi tera pyar pooja hai
Tere siwa kaun mera dooja hai yaar

Kitno dino ke baad ye surat dekhi hai
Ek bhagwan ki tuti murat dekhi hai
Ho kitno dino ke baad ye surat dekhi hai
Ek bhagwan ki tuti murat dekhi hai
Pooja ke ye phool na bikhre
Pyar ki mala tute naa

Saathi tera pyar pooja hai
Tere siva kaun mera dooja hai yaar
Saathi tera pyar pooja hai
Tere siwa kaun mera dooja hai yaar

Kaas tuje mai apni umar ye de paati
Maut agar yun aati mar kar jee jaati
Kaas tuje mai apni umar ye de paati
Maut agar yun aati mar kar jee jaati
Chhute duniya par haatho se haath
Tera ye chhute na

Saathi tera pyar pooja hai
Tere siwa kaun mera dooja hai yaar
O saathi ho ho
Ho mitawa ho ho
Saathi tera pyar pooja hai
Tere siwa kaun mera dooja hai yaar.

নিথর জলের বুক ছোঁয়ে

নিথর জলের বুক ছোঁয়ে
তুমি ঢেউ তোলনা বধুঁয়া
মন করে তোলপার আমার নিতুয়া গো
নিথর জলের বুক ছোঁয়ে
তুমি ঢেউ তোলনা বধুঁয়া
মন করে তোলপার আমার নিতুয়া গো
নিথর জলের বুক
Interlude..............
আমি তোমার কে তাতো জানো না
তুমি উদাস কোন সুর যে অচেনা
উদাসীর বাঁশী ডাকে মেঁঘ চোখে বেদনা
অকালে শ্রাবন যেন মেলেছে যে ডানা
আলেয়ার আলো যেন সাঁঝের প্রদীপ নয়
নিথর জলের বুক ছোঁয়ে
তুমি ঢেউ তোলনা বধুঁয়া
মন করে তোলপার আমার নিতুয়া গো
নিথর জলের বুক
Interlude..............
ব্যথার বিষ তুমি খাবে কেন বলো
দুঃখের কাঁটা তুমি চাইবে কেন বলো
ভূলেও সে ভূল যেন করনা গো
জীবন নিয়ে আজ এমন খেলা কেনো
কাঁদে যখন মন কেও তো শুনেনা
নিথর জলের বুক ছোঁয়ে
তুমি ঢেউ তোলনা বধুঁয়া
মন করে তোলপার আমার নিতুয়া গো
নিথর জলের বুক
Interlude..............
ঘর বলো ওগো বাঁধবে কোথায়
লাগল আগুন যে ভাবেরি চিতায়
Interlude..............
ভালোবাসার তুমি জ্বেলোনা আগুন
শপ্নের ছাই দিয়ে লিখনা মাথায়
বালির উপর নাও চলেনাতো বধূয়া
নিথর জলের বুক ছোঁয়ে
তুমি ঢেউ তোলনা বধুঁয়া
মন করে তোলপার আমার নিতুয়া গো
নিথর জলের বুক ছোঁয়ে
তুমি ঢেউ তোলনা বধুঁয়া
মন করে তোলপার আমার নিতুয়া গো
নিথর জলের বুক

আঁধার আমার ভালো লাগে

থা - মুকুল দত্ত,
সুর - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়,
কণ্ঠ - প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়

আঁধার আমার ভালো লাগে |
তারা দিয়ে সাজিও না আমার আকাশ |
আঁধার আমার ভালো লাগে |
রাতের গভীরে আজ, বঁধুয়ার পরশে
হাজার প্রদীপ যদি জ্বলে,
বঁধুয়ার পরশেতে জ্বলে যাবে এই রাত
রবে অনুরাগে ভালোবাসাতে |
সাজিওনা আমার আকাশ, যেন তারায় তারায়
ভালো লাগে তাইতো এ আঁধার |
আঁধার আমার ভালো লাগে |
তনুতটি সাজিয়ে আগুন বসে আছি
বসে আছি উতল এ মন নিয়ে |
জানি না তো বঁধুয়া মরণ রয়েছে লেখা
ভালোবেসে আজ এ রাতে
সাজিওনা আমার আকাশ যেন তারায় তারায়
ভালো লাগে জ্বলে যেতে বিষের জ্বালায়
আঁধার আমার ভালো লাগে |
তারা দিয়ে সাজিও না আকাশ |

.           *************************

Musical Story তে আজ তু চিজ বড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত

hi বন্ধুরা, আমি অনন্ত এসে গেছি আমাদের পেজ এর বিশেষ নিবেদন Musical Story নিয়ে। আজ আপনা দের একটা খুব জনপ্রিয় হিন্দি গান নিয়ে কয়েকটা গল্প বলবো। তো শুরু করা যাক,

গান টা হল ১৯৯৪ সালের হিট ফ্লিম মোহরা এর খুবই জনপ্রিয় গান " তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত"

ফ্লিমের ডাইরেক্টর রাজিভ রাই, প্রডিউসার গুলশন রাই,  আর মিউজিক দিয়েছেন ভিজু সাহা,
story no.1
তো যে গানটার কথা বলছিলাম, আপনারা সবাই নিশ্চই অনেক বার শুনেছেন গানটা আর এটাও জানেন যে গান টা গেয়েছেন উদিত নারায়ন ও কবিতা জি। কিন্তু এটা অনেকেই জানেন না যে এই গান টা কিন্তু প্রথমে কুমার শানু কে দিয়ে গাওয়ানোর কথা ছিলো। মোহরা ফ্লিমের প্রডিউসারের খুব পছন্দের শিল্পী ছিলেন শানু দা, তার খুব ইচ্ছা গানটা শানু গাইবে, শানুর সাথে কথা ও হয়ে ছিলো কিন্তু বাধ সাদলো গানের মিউজিক ডাইরেক্টর ভিজু সাহা, শানু দা কে ভিজু সাহা ও খুব পছন্দ করতেন যদিও তার পর ও উনি সবাই কে বোঝালেন যে এই গানের মিউজিকে একটা ক্লাসিকাল গানের রেস আছে তাই এই গান টা এমন শিল্পী কে দিয়ে গাওয়ানো উচিৎ যিনি ক্লাসিকাল গানের তালিম নিয়েছেন,
আর ঠিক এই ব্যাপার টার জন্যই গান টা শানুদার থেকে উদিত জি গাওয়াটাই বেশি ভালো হবে বুঝে গুলশন জি রাজি হয়ে গেলেন উদিত জি কে দিয়ে গাওয়াতে।

story no. 2
বলিউডে বেশ কিছু অভিনেতা ও অভিনেত্রী আছেন যারা তাদের অভিনিত কোনো বিশেষ একটা গানের মাধ্যমে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং সেই গান তাকে একটা নতুন নাম দিয়েছে, যেমন মাধুরী জি কে বলা হয়ে থাকে "ধক ধক গার্ল"
এই গানটার কারনে সবাই রাবিনা ট্যান্ডান কে নাম দিলেন "The mast mast girl"

story no.3
জানেন এই গানটার শুটিং এর সময় রাবিনা কিছুখনের জন্য অঞ্জ্যান হয়ে গিয়েছিলেন? হ্যা এটা ঠিক। আসলে এই গানের শুটিং এর আগের দিন রাবিনা তার অন্য একটা ফ্লিমে শুটিং এ ছিলেন যেটার জন্য রাত জাগতে হয়েছিলো আর ডেট না থাকায় সেখান থেকে সরাসরি এই শুটিং এ..
কিন্তু ওনার অভিনয়ের প্রতি dedication দেখুন, আধ ঘন্টার মধ্যে আবার শুটিং শুরু করে দিলেন।
story no. 4
অনেকেই জানেন না এই গানটার শুটিং এ মোট ৮টা ক্যামেরা ব্যাবহার করা হয়ে ছিলো যেটা সেই সময়ের হিসাবে একটা বিরল ঘটনা।

আজ এই পর্যন্ত, ভালো থাকবেন, ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করুন

#anANta

বুকের জমানো ব্যাথা কান্নার নোনা জলে

বুকের জমানো ব্যাথা কান্নার নোনা জলে,
ঢেউ ভাঙে চোখের নদীতে,
অন্যের হাত ধরে চলে গেছো দূরে;
পারিনা তোমায় ভুলে যেতে
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়,,,,

ভুল না হয় ছিলো আমার’ই বেশি,
করোনি ক্ষমা করেছো দোষী;
অভিমান লুকিয়ে রাখো যদি
থাকবো সারা জীবন অপরাধী;
প্রতিশোধ নেবে নাও আমি বাধা দেবো না,
শুধু একবার বলে যাও কেনো আমার হলে না…?
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়….?

ভাবিনি কখনো যাবে চলে,
আমাকে এভাবে একা ফেলে;
স্বপ্ন নিজের হাতে ভাঙলে তুমি
একা কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত আমি;
প্রতিশোধ নেবে নাও আমি বাধা দেবো না,
একবার বলে যাও কেনো আমার হলে না….?
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়….?

বুকের জমানো ব্যাথা কান্নার নোনা জলে,
ঢেউ ভাঙে চোখের নদীতে,
অন্যের হাত ধরে চলে গেছো দূরে;
পারিনা তোমায় ভুলে যেতে
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি…..

এ জীবনে যারে চেয়েছি,

এ জীবনে যারে চেয়েছি,
আজ আমি তারে পেয়েছি,
তুমি আমার, সেই তুমি আমার
তোমারে খুঁজে পেয়েছি(২)
এ জীবনে যারে চেয়েছি।

তুমি ছিলে না, ছিলো না আশা,
তোমায় পেয়ে, আশা বেঁধেছে বাসা(২)
ফোটালে আমার বুকে সুখের ভাষা।
এ জীবনে যারে চেয়েছি,
আজ আমি তারে পেয়েছি,
তুমি আমার, সেই তুমি আমার,
তোমারে খুঁজে পেয়েছি(২)
এ জীবনে যারে চেয়েছি,
আজ আমি তারে পেয়েছি।

তুমি নয়নে-নয়নে শুধু,
প্রাণের প্রিয় তুমি, রাঙা বধু,
তুমি নয়নে-নয়নে শুধু, ‘
আমি যে তোমার ওগো রাঙা বধু,
করেছো আমায় ওগো, এ কোন যাদু।
এ জীবনে যারে চেয়েছি,
আজ আমি তারে পেয়েছি,
তুমি আমার, সেই তুমি আমার
তোমারে খুঁজে পেয়েছি(২)
এ জীবনে যারে চেয়েছি,
আজ আমি তারে পেয়েছি।

Tuesday 15 May 2018

প্রেম একবারই এসেছিল নিরবে

প্রেম একবারই এসেছিল নিরবে
আমারই এ দুয়ার প্রান্তে
সে তো হায় মৃদু পায়
এসেছিল পারি নি তো জানতে।।
সে যে এসেছিল বাতাস তো বলে নি
হায় সেই রাতে দীপ মোর জ্বলে নি।
তারে সে আধারে চিনিতে যে পারি নি
আমি পারি নি ফিরায়ে তারে আনতে।।
যে আলো হয়ে এসেছিল কাছে মোর
তারে আজ আলেয়া যে মনে হয়
এ আধারে একাকী এ মন আজ
আধারেরই সাথে শুধু কথা কয়
আজ কাছে তারে এত আমি ডাকি গো
সে যে মরিচিকা হয়ে দেয় ফাকি গো।
ভাগ্যে যে আছে লেখা হায়রে
তারে চিরদিনই হবে জানি মানতে।।

Monday 14 May 2018

musical story

hi বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি অনন্ত নিয়ে এলাম আমাদের পেজ এর বিশেষ নিবেদন ★Musical story★
আজকের গল্প একজন মহান গায়ক, যাকে সবাই এককথায় চেনেন সুফিমাস্টার হিসাবে। যার নাম ★নুসরাত ফতেআলি খান★ one of the greatest voices ever recorded, ওনার গলায় একটা extra ordinary range থাকার কারনে ঘন্টার পর ঘন্টা high label এ গান গাইতে পারতেন, যারা ওনাকে এখন ঠিক চিনতে পারছেন না তাদের বলি আপনা " আফরিন আফরিন " বা "প্রিয়ারে প্রিয়ারে থারে বিনা লাগে নাই মোরা জিয়ারে" বা "কই জানে কই না জানে, উপার বালে হতে হ্যায় দিবানে" গান গুলি শুনেছেন কি??? তাহলে ওনাকে ঠিকই চিনতে পারবেন। উনি ইন্ডিয়ান ফ্লিম আর ইন্ডিয়ান মিউজিক জগৎ প্রচুর নাম ও খ্যাতি লাভ করলেও ওনার আসল বাড়ি পাকিস্তানে।
আপনারা জানেন কি ওনার নাম কিন্তু নসরত ছিলো না, ওনার বাল্য নাম ছিলো "পারভেজ"।  কিভাবে নাম টা এলো আর কি ভাবে উনি শাহেশাহ সুফি সিঙ্গার হয়ে উঠলেন সেটা নিয়ে কিছু গল্প বলবো সাথে থাকুন।
সুফি অার কাওয়ালী গানের প্রতি ওনার অবদানের জন্য "শাহেনশাই কাওয়ালী" খেতাব ও পেয়েছিলেন, ১৯৬৪  এ ওনার বাবা ফতেআলী খানের মৃত্যু এর আগেই ওনার বাবা নসরতজী কে তার দুই দাদার হাতে তুলে দিয়ে ছিলেন ওনাদের ৬০০ বছরের সুফি ট্রেডিসন টা কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও আরো ভালো করে সুফি মিউজিক টা রপ্ত করার জন্য। ওনার বাবা নাম রেখেছিলেন পারভেজ কিন্তু এক সময় নসরত জী গানের তালিম নেয়ার জন্য গেলেন গুলাম জী এর কাছে, গুলাম জী ওনার গান শুনে বলেছিলেন "তুমি অনেক দুর যাবে, তুমি জয়ী হবে সুফি মিউজিক এর দুনিয়ার তাই তোমার নাম আজ থেকে পারভেজ না, নাম হবে নুসরত( victory/জয়)।
নসরত স্যার প্রথম পাকিস্তানি এমন একজন সিঙ্গার যিনি ৬০০ বছরের পুরানো কাওয়ালী ট্রেডিসন কে ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্সের কাছে মেলে ধরেছিলেন।
জানেন কি নুসরাত জি সুফি সিঙ্গার এর পরিবার থেকে হলেও ওনার বাবা কিন্তু প্রথমে চাইতেন না যে উনি বাকি সবার মত এই গানের জগৎ এর আসুন। উনি চাইতেন নসরত জী ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠত হন, কিন্তু যে পরিবারে ৬০০ বছর ধরে সুফি ট্রেডিসন চলে আসছে সেই পরিবারের ছেলের শিরায় শিরায় সুফি মিউজক থাকা টা স্বাভাবিক, একদিনের এক ছোট্টো ঘটনা ওনাকে আমাদের মাঝে এনে দিলো সুফি সঙ্গিতের স্রতে ভাসাতে। সে সময়ের পশ্চিমবঙ্গের খুবই জনপ্রিয় ক্লাসিক সিঙ্গার
"পন্ডিত দীননাথ " জী একদিন পাকিস্তান এলেন একটা অনুষ্ঠান করতে, তিনি ফতেয়ালি জি কে আগে থেকেই চিনতেন,  তাই থাকার বাবস্থা টা অনার অখানেই হলো।
একদিন ফতেয়ালি জি জানতে চাইলেন পাকিস্তান কেমন লাগছে??
উত্তরে দীননাথ জি বললেন (একটু রাগের সুরে) একদম ভালো না।
উত্তর শুনে তো ফতেয়ালি জি টেনশনে পরে গেলেন, তার পাকিস্তান এর সন্মানের ব্যাপার😱😱
তিনি জানতে চেয়ে বুঝলেন অনার আসল প্রব্লেম টা কথায়।
আসলে সেই সময় সব ক্লাসিক গায়ক স্টেজ এ গাওয়ার সময় সাথে একজন করে তবলাবাদক রাখা টা বেশি পছন্দ করতেন, কখন একা হারমনি নিয়ে গাইতেন না, কিন্তু পাকিস্তান এ একটা ও ভালো তবলাবাদক (অনার পছন্দমত) পাচ্ছিলেন না, তাই এত রাগ।

ডাক পড়ল নুসরত জি এর, কারন উনি তবলা টা বেশ ভালই বাজাতে পারেন বলে ফতেয়ালি জি মনে করেন।

একটা কম বয়সী, কম উচ্চতা আর একটু মোটাসোটা বাচ্চা ছেলে কে দেখে দীননাথ জি হাসলেন, বললেন এ আমার সাথে বাজাবে?!!!!

ফতেয়ালি জি বললেন একবার সুযোগ দিয়েই দেখুন না,

দীননাথ জি ভাবলেন ঠিক আছে একবার দেখেই নেওয়া যাক কেমন বাজায়, এমনি তে তো ভালো কাওকেই পাচ্ছিনা,

নুসরত জি বাজালেন, শুনে ভীষন খুশি হলে, নুসরত জি এর গান আগেই শুনেছিলেন তাই সঙ্গে সঙ্গে ফতেয়ালি জি কে বেশ কড়া সুরেই বললেন " এমন একটা ছেলে কে আপনি গানের জগৎ থেকে সরিয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাইছেন!!! এর মধ্যে প্রতিভা আছে, এর যত্ন নিন, অনেক বড় হবে এ "

সে দিনের পর থেকে ফতেয়ালি জি পুরোপুরিভাবে মাথা থেকে মুছে দিয়েছিলেন ছেলে কে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাবার ভাবনা।

আজ এইটুকুই। আবার নিয়ে আসব নতুন কোনো গল্প, ঠিক এই দিনে এই সময়।
ভালো থাকবেন।
#anANta

muskurane ki waja tum ho

for lyrics visit my fb page

chupke se koi aayega

তুই বর্ষা বিকালের ঢেউ

বলনা রে মন কোথায় যাবি

এই ভালোবাসা তোমাকেই পেতে চায়

পারবো না আমি ছাড়তে তোকে

ললিতা ওকে আজ চলে যেতে বল না

তুমি নিজের মুখেই বললে যে দিন

তোমার সাজ ঘরের রাজা সাজবো না

যখন তুমি আমায় মাতাল বলো

মন হাওয়ায় পেয়েছি

আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে

এই যে নদী যায় সাগরে

সে প্রথম প্রেম আমার নিলাঞ্জনা

tujhe dekha to yeh jana sanam

একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি

আমি তোমারো সংঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রান

আমি  তোমার সঙ্গে বেঁধেছি

 আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে--

তুমি জান না, 

আমি তোমারে পেয়েছি   অজানা সাধনে॥

সে সাধনায় মিশিয়া যায় বকুলগন্ধ,

সে সাধনায় মিলিয়া যায় কবির ছন্দ--

তুমি জান না, 

ঢেকে রেখেছি তোমার নাম

রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে॥

তোমার অরূপ মূর্তিখানি

ফাল্গুনের আলোতে বসাই আনি।

বাঁশরি বাজাই ললিত-বসন্তে, সুদূর দিগন্তে

সোনার আভায় কাঁপে তব উত্তরী
গানের তানের সে উন্মাদনে॥


রাগ: বাহার-সোহিনী
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ফাল্গুন, ১৩৪৫
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): মার্চ, ১৯৩৯
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন

pas bulati hai kitna rulati hai..

বলবো তোমায় আজ কে আমি

Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki

Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Hum To Dil De Hi Chuke
Hum To Dil De Hi Chuke Bas Teri Haan Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki

Kaun Sa Mod Aaya Zindagi Ke Safar Mein
Bas Gaya Tu Hi Tu Ab To Meri Nazar Mein
Dil Ki Har Ek Dhadkan Tujhko Pehchaanti Hai
Meri Chaahat Hai Ab Kya Tu Nahin Jaanti Hai
Main Tuhje Jaan Gayi Tujhko Pehchaan Gayi
Phir Bhi Teri Haan Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki

Aaj Yeh Kya Hua Hai Dil Nahin Mera Bas Mein
Is Liye Sochti Hoon Tod Doon Sari Rasme
Umr Bhar Ke Liye Tu Aa Mera Saath De De
Tera Ho Jaaonga Main Haathon Mein Haath De De
Haathon Mein Haath Sahi Tu Mere Saath Hi Sahi
Phir Bhi Teri Haan Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki
Thoda Sa Pyar Hua Hai Thoda Hai Baki

মা মাগো মা, মা গো মা,

মা মাগো মা, মা গো মা,
আমি এলাম তোমার কোলে,
তোমার ছায়ায় তোমার মায়ায়
মানুষ হব বোলে।

দূর অজানার কল্পলোকের ওপার হতে
সাত সাগরের অন্ধকারের অকুল স্রোতে।
সূর্য সোনার আশির্বাদে,
আলোয় এলাম চলে।

তোমার রক্তকণায় ঠাঁই দিলে মা
ধন্য হলাম আমি,
চোখ মেলতেই তোমার দুচোখ
দেখতে পেলাম আমি,
ধন্য হলাম আমি।

আমার জন্য সইলে তুমি অশেষ ব্যথা ,
বুঝিযে দিলে মা হওয়া নয় মুখের কথা।
আমার কান্না হল মধুর হাসি,
তোমার মন্ত্রবলে।

মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাঞ্জিলী।

musical story only on fb page ganer majhe tumi

Hi বন্ধুরা, আমি অনন্ত নিয়ে এলাম আমাদের পেজের বিশেষ নিবেদন যার নাম  "Musical story"
  আজকের গল্প টা একজন মহান গায়ক ও সুরকার এর জীবনের গল্প। তিনি হলেন আমার আপনার খুব প্রিয় শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়,
এমনি তে উনি ছোটো বেলায় বেশি দুরন্ত বা বদ বুদ্ধি ওয়ালা ছেলে ছিলেন না কিন্তু তার পরও উনি একবার স্কুল থেকে রাস্টিকেট হয়েছিলেন!! আসুন ঘটনাটা ভালো করে খুলে বলি।
একদিন স্কুলের অফপ্রিয়ড চলছে সব ছেলে মেয়েরা হট্টগোল করছে, কিন্তু কয়েক জন ছেলে ক্লাসের এক পাশে বসে গানের আসর বসিয়েছে, হম্ম সেই দলে হেমন্ত জি ও ছিলেন, গাইছিল, ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি একটা টান ছিলো, গান চলছে এমন সময় ক্লাসের পাশ দিয়ে এসিস্টেন্ট হেডমাস্টার যাচ্ছিলেন, হট্টগোল শুনে রেগে ক্লাসের ঢুকে বললেন "এত শোরগোল করছো কেন?? আর কে গান গাইছিলো শুনি ক্লাসে পড়া বন্ধ রেখে???"

স্যার এর রাগ দেখে সবাই চুপ কেও কিছু বলছেন না, তখন হেমন্ত জি দাঁড়িয়ে পরে সভয়ে বললে  আমি গাইছিলাম স্যার,
স্যার আগের থেকেও বেশি রেগে হাত ধরে টানতে টানতে অফিস রুমে নিয়ে গেলেন, টেবিল থেকে রেজিস্টার খাতা তা তুলে নিয়ে লাল পেন দিয়ে ঘষে ঘষে নামটা কেটে দিয়ে বললেন এবার যাও, আর পড়তে হবে না, গান গেয়ে বেড়াও।

না সেদিন রাস্টিকেট হননি, অনেক কাকুতি মিনুতি করে চোখের জল ফেলে শেষ বারের মতো ক্ষমা পেয়েছিলেন, পরের ফাইনাল পরীক্ষা তে ভালো নাম্বার নিয়ে পাশ করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন পড়া তে তিনি কম যান না, স্কুলের টপ লেবেলের স্টুডেন্ট দের লিস্ট এ নিজের নাম এনে বুঝিয়ে দিলেন গান তো তিনি গাইবেন আর সেটাও হবে পড়ার মতোই টপ লেবেলের মত। সবাই যাতে মনে রাখে।
গান তো তিনি তখন ভালোই গাইতে পারেন তার পর ও বন্ধু সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর হাজার বলা সত্বে ও রেডিও তে অডিশন দিতে কিছু তেই যেতে চাইছিলেন না, শেষ এ এক রকম জোর করেই সুভাষ বাবু নিয়ে গেলেন রেডিওতে, অডিশন এ পাশ করলেন, বন্ধু সুভাষ এর লেখা গান ও গাইলে , সেই শুরু তার পর একের পর এক গান গেয়ে আমাদের মনে জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন চিরতরে। ইতিহাস সৃষ্টি করা
সলিল  হেমন্ত জড়ি এর গল্প বলবো অন্য আর এক দিন। তবে বলে রাখি সলিল জি একটা ইন্টারভিউ তে বলেছিলেন "ভগবানের যদি কোনো দিন ও গান গাওয়ার ইচ্ছা হয় তো উনি হেমন্তের গলায় এ গাইতে চাইবেন"

অনেক বলেন ভগবানের গান গাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিলো আর তিনি হেমন্ত হয়ে জন্ম ছিলেন।
আমার মনে হয়না বেশি কিছু বাড়িয়ে বলা হয়েছে, সত্যি কি সুন্দর গলা আর গাওয়ার প্রতিভা। এত বছর পরেও বড় ছোট সবার মন জয় করে নেয় ওনার প্রতিটা গান, আমরা শুনি আর মুগ্ধ হয়ে যাই। ধন্যবাদ জানাই হেমন্ত জি এর সেই বন্ধু কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কে, ওনার সে দিনের জেদের কারণে আমরা এরকম এখন বহুমুখী প্রতিভা কে পেয়েছি।
সবাই ভালো থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু গল্প নিয়ে পরের বৃহস্পতিবার ঠিক এই সময়। comment করে জানাবেন কেমন লাগছে আমাদের এই বিশেষ নিবেদন।

pege e asun ekhane click kore